আপনার প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন নথি বা ডকুমেন্ট সংরক্ষণের কাজে নিশ্চয় নিয়মিতই ফটোকপি করার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে বাইরে থেকে ফটোকপি করে আনা সময় এবং ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপারই বটে। এজন্য সহজ সমাধান হতে পারে আপনার চাহিদার সাথে মিল রেখে ফটোকপিয়ার কিনে ফেলা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আপনার যেহেতু ফটোকপিয়ারের বিষয়ে আগে থেকে গভীর ধারণা নেই, তাই কেনার আগে অবশ্যই ফটোকেপিয়ারের বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। এই লেখায় তোশিবার ফটোকপিয়ার কেন বেছে নেবেন সে বিষয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা যাক।
কেন তোশিবা ফটোকপিয়ার?
আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, বাজারে অনেক ব্র্যান্ডেরই ফটোকপিয়ার রয়েছে। আমরা কেন তোশিবা ফটোকপিয়ারের বিষয়েই বলছি? তার পেছনে অবশ্যই কারণ আছে।
তোশিবা ফটোকপিয়ার গুলোর যদি কোনো পার্টস নষ্ট বা মেশিনে কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তৎক্ষনাৎই টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া যায়৷ ঠিক এই জায়গাটিতেই অনন্য তোশিবা। কারণ, অন্যান্য ব্র্যান্ডের যেসব ফটোকপিয়ার বাজারে পাওয়া যায়, সেগুলোতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বা পার্টস বদলানোর ক্ষেত্রে কোনো টেকনিশিয়ান বা পার্টস দেশের বাজারে পাওয়া এক প্রকার অসম্ভবই বটে। কিন্তু তোশিবার ক্ষেত্রে বিষয়টি পুরোপুরি উল্টো।
তোশিবার ফটোকপিয়ারে কোনো সমস্যা দেখা দিলে খুব সহজেই যেমন টেকনিশিয়ানের সাহায্য পাওয়া যায়, তেমনি কোনো পার্টস বদলানোর ক্ষেত্রেও দেশের বাজারেই সহজেই কাঙ্ক্ষিত পার্টসটি কিনতে পাওয়া যায়।
তোশিবা এমন একটি ব্র্যান্ড যা সরাসরি জাপানি সর্বশেষ প্রযুক্তি এবং দক্ষ উদ্ভাবকদের সমন্বয়ে তৈরি এবং উৎপাদন করা হয়।
তোশিবার ফটোকপিয়ারগুলো বিশ্বমানের হওয়ায় এই মডেলগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে বাড়তি কোনো সতর্কতার প্রয়োজন পড়ে না৷ তবে ধূলাবালি থেকে রক্ষা করতে নিয়মিত কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে ফটোকপিয়ারের বাহ্যিক অংশ৷
তোশিবার ফটোকপিয়ারে ফটোকপি ছাড়াও একাধিক ফিচার থাকার কারণে এই মেশিন দিয়ে সহজেই একাধিক কাজ করা যায়৷ এজন্য ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে বিশ্বখ্যাত এই ব্র্যান্ড। কোয়ালিটি প্রোডাক্ট এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির দিক থেকে তোশিবা অর্জন করে নিয়েছে আস্থার জায়গা। এই আস্থাই তোশিবাকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবা নিশ্চিতকরণে। এজন্যই আমরা আপনাকে তোশিবা ফটোকপিয়ারই বেছে নিতে উৎসাহিত করছি।
কী আছে তোশিবা ফটোকপিয়ারে?
তোশিবার ফটোকপিয়ারের একাধিক মডেল বাজারে রয়েছে। মডেলভেদে পিপিএম (প্রতি মিনিটে যত পৃষ্ঠা প্রিন্ট হয়), স্টোরেজ, ডুপ্লেক্স প্রিন্ট, পেপার স্টোরেজসহ নানা ফিচারেই ভিন্নতা রয়েছে। কোনো ফটোকপিয়ার দিয়ে A4 সাইজ কাগজেই প্রিন্ট করা যায়, কোনোটি দিয়ে অন্য সাইজের কাগজও প্রিন্ট করা যায়। তোশিবার অধিকাংশ ফটোকপিয়ারেই প্রিন্ট, স্ক্যান এবং কপি সুবিধা থাকলেও কিছু ফটোকপিয়ারে এই সুবিধাগুলোর বাইরে ফ্যাক্স সুবিধাও পাওয়া যায়।
Image Source: Smart Copier Solutions
উন্নতমানের কালার প্রিন্টিংয়ের সুবিধা রয়েছে। তোশিবার ফটোকপিয়ারে প্রেস কোয়ালিটির কালার প্রিন্টের সুবিধা পাওয়া যাবে। জাপানি ব্র্যান্ডটির ফটোকপিয়ারের নানা মডেলের মধ্যে থেকে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী সেরা মডেলটি বেছে নিতে পারেন।
সাবলিল ব্যবহারে অনন্য
তোশিবা ফটোকপিয়ার ব্যবহারের বড় সুবিধা হচ্ছে এটি ব্যবহারে আলাদা কোনো প্রযুক্তি জ্ঞান দরকার হয় না৷ শুধু মাত্র একটি বাটন চেপেই এটি চালু এবং অপারেট করা সম্ভব। ঝামেলাহীন এই কাজ আপনার সময় এবং পরিশ্রম কমিয়ে দেবে। তাছাড়া, এটি ব্যবহারের সময় এর পাশে আপনার এক নাগাড়ে দাঁড়িয়ে থাকারও প্রয়োজন পড়বে না। কারণ আপনার কমান্ডের উপর নির্ভর করে এই মেশিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার চাহিদা অনুযায়ী পরিমাণমতো কাগজ একই সাথে প্রিন্ট করে দিতে সক্ষম। তাই একবার কমান্ড দেওয়ার পর এই মেশিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ প্রিন্ট করে দিতে পারার কারণে আপনি সে সময়টায় অন্য কাজে ব্যস্ত থাকতে পারবেন। বিশেষত অফিসে নানা কাজের চাপের মধ্যে দারুণভাবে সুবিধা দেবে এই পদ্ধতি।
ফিচার | তোশিবা ফটোকপিয়ার |
প্রিন্ট, স্ক্যান, কপি সুবিধা | আছে |
পেপার সাইজ | মডেলভেদে A3 থেকে A6 পর্যন্ত |
নেটওয়ার্ক সুবিধা | মডেলভেদে প্রযোজ্য |
কালার প্রিন্ট সুবিধা | মডেলভেদে প্রযোজ্য |
প্রতি মিনিটে প্রিন্ট | মডেলভেদে ২০ থেকে ৩০ পৃষ্ঠা |
ডুপ্লেক্স প্রিন্ট সুবিধা | মডেলভেদে প্রযোজ্য |
স্টোরেজ | ২৫৬ এমবি থেকে ৪ জিবি পর্যন্ত |
মডেল কোনটি ভালো হবে?
আগেই আপনাদের জানিয়েছি, তোশিবার ফটোকপিয়ারের একাধিক মডেল বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু আপনার অফিসের জন্য কোন মডেলটি দরকার হবে তা বুঝবেন কী করে? এর জন্য শুরুতে আপনার চাহিদা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। আপনার অফিস যদি ছোট হয় এবং দৈনিক ফটোকপি ভলিউম যদি খুব বেশি না হয় সেক্ষেত্রে কিছুটা স্ট্যান্ডার্ড ধরণের মডেলই বেছে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আগ্রহী হতে পারেন Toshiba e-Studio 2523A A3, Toshiba e-Studio 2523AD A3 ইত্যাদি মডেলগুলোতে। এগুলো দিয়ে সহজেই প্রিন্ট, কপি এবং স্ক্যান সুবিধা মিলবে। এসব মডেলে মিনিটে ২৫ টি পর্যন্ত কাগজ প্রিন্ট করা যাবে যা একটি অফিসের জন্য যথেষ্ট পর্যাপ্ত ভলিউম।
Image Source: Smart Copier Solutions
তবে এগুলো দিয়ে শুধু সাদা কালো প্রিন্টের সুবিধাই পাবেন। কিন্তু যদি রঙিন প্রিন্টের সুবিধাও আপনার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে তোশিবার Toshiba e-Studio 2020AC, Toshiba e-Studio 2110AC A3 ইত্যাদি মডেলগুলো দেখতে পারেন৷ আপনার অফিসে যদি একাধিক কম্পিউটারের সাথে ফটোকপিয়ারের সংযোগের মাধ্যমে প্রিন্টের সুবিধা গ্রহণ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার জন্য নেটওয়ার্ক সুবিধা সম্বলিত ফটোকপিয়ারের প্রয়োজন হবে। এজন্য আপনার জন্য সেরা ফটোকপিয়ার হতে পারে Toshiba e-Studio 2323AM কিংবা Toshiba e-Studio 2823AM এর মডেল। অফিসে থাকা একাধিক কম্পিউটারের সাথে এই ফটোকপিয়ারগুলোর সংযোগ দিয়ে ফটোকপিয়ারে কোনো কমান্ড ব্যতীত প্রিন্ট করা যাবে৷
Image Source: Smart Copier Solutions
ফিচার | Toshiba e-Studio 2523A A3 | Toshiba e-Studio 2829A | Toshiba e-Studio 2323AM | Toshiba e-Studio 2020AC | Toshiba e-Studio 2523AD A3 |
প্রিন্ট, স্ক্যান, কপি সুবিধা | আছে | আছে | আছে | আছে | আছে |
পেপার সাইজ | A3, A4, A5, A5-R | A3, A4, A5 | A3, A4, A5 | A3, A4, A5, A6 | A3, A4, A5 |
নেটওয়ার্ক সুবিধা | নেই | নেই | আছে | নেই | নেই |
কালার প্রিন্ট সুবিধা | নেই | আছে | নেই | আছে | নেই |
প্রতি মিনিটে প্রিন্ট | ২৫ | ২৮ | ২৩ | ২০ | ২৫ |
ডুপ্লেক্স প্রিন্ট সুবিধা | নেই | আছে | আছে | আছে | আছে |
স্টোরেজ | ২৫৬ এমবি | ৫১২ এমবি | ৫১২ এমবি | ৪ জিবি | ২৫৬ এমবি |
মূলকথা হচ্ছে, বাজারে নানা ব্র্যান্ডের ফটোকপিয়ার থাকলেও আপনার অফিসের জন্য সবচেয়ে সেরা ফটোকপিয়ারটি আপনি বেছে নিতে পারবেন তোশিবা থেকে৷ বৈচিত্র্যময় মডেল, সমৃদ্ধ ফিচার এবং সহজাত রক্ষণাবেক্ষণসহ নানা কারণেই আজকাল অফিশিয়াল কাজের জন্য চাহিদার শীর্ষস্থানে রয়েছে তোশিবার ফটোকপিয়ার।